কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট ৯ টি কেন্দ্রে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে ১টায় শেষ হয়। এরপর বেলা ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত আর্কিটেকচারের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৮৭%। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার ১৩৪ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আসন ছিলো। যার মাঝে অনুপস্থিত ছিলো ১ হাজার ৩১১ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ মোট পরীক্ষার্থীর ১৩ শতাংশ অনুপস্থিত ছিলো।
কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে শাখা ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন জেলাভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলোর উদ্যোগে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বুথ বসানো হয়। পাশাপাশি ছিলো জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের ব্যবস্থা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যদের পরীক্ষার্থীদের সিট খোঁজা সংক্রান্ত সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর ছিল।
ফেনি থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী আসাদ জানান, আমার কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন অনেক কঠিন মনে হয়েছে। আমি ম্যাথ সব গুলো দাগাতে পারিনি। উপরওলা জানে চান্স হবে কিনা।
সোয়াগাজী থেকে আসা শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তবে প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়েছে তবে আমি আশা রাখি গুচ্ছের যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাব।
এছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মসূচি শিথীল রেখেছিল। তিন দপ্তরের তালা খুলে দিয়েছিল।
কুবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও আইসিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘ ভর্তি পরীক্ষা সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ। সকলের সহযোগিতার কারণে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়েছে।’
পরীক্ষা শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আজকে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হল ঘুরে দেখেছি। কেন্দ্রগুলোতেও পরীক্ষার পরিবেশ অত্যন্ত ভাল ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ছিল।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক ছিল বলেই ‘এ’-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page